• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo
দুপুরের মধ্যে ৬ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।   এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে বলে আবহাওয়ার অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।  এদিকে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।  
২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:০২

চতুর্থ ধাপে আজ ৬০ উপজেলায় নির্বাচন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপে দেশের ৬০টি উপজেলায় নির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট গ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিতকৃত ২০টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৯ জুন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতেই দুর্গম এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠিয়েছে কমিশন। আজ বুধবার (৫ জুন) ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হবে। নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিন জন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরইমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬ হাজার ৩ জন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৬৭৩ জন। সর্বমোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ১৫৪টি টিম। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। প্রথম ধাপের রেকর্ড সংখ্যক কম ভোটের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এর পেছনে কৃষকদের ধানকাটা ও বৃষ্টিসহ পাঁচটি কারণকে দায়ী করে পরে ধাপে ধাপে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে নির্বাচন কমিশন।
০৫ জুন ২০২৪, ০৪:২৭

ইসলামে মানুষ হত্যার অপরাধ ও বিধান
পৃথিবীর মধ্যে অপরাধের সর্বোচ্চটা হচ্ছে মানুষ হত্যা বা খুন। মানুষ হত্যা জঘন্যতম ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এর শুরুটা হয় নারীকেন্দ্রিক। কাবিল হাবিলকে খুনের মধ্য দিয়ে মানবহত্যার ইতিহাস শুরু হয়। হাদিসে এসেছে— ‘কোনো মানুষ অত্যাচারবশত হত্যা হলে তার রক্তের কিয়দংশ আদমের (আ.) প্রথম সন্তানের ওপর বর্তাবে। কারণ, তিনিই প্রথম মানবসমাজে হত্যাকাণ্ড চালু করেন (বোখারি ৩৩৩৫; মুসলিম ১৬৭৭)।   তাই প্রায় প্রতিটি খুনের পেছনে নারী বা সম্পদের হাত খুঁজে পাওয়া যায়। আজকাল তো মানুষ হত্যা পান্তাভাতের মতো হয়ে গেছে। উনিশ থেকে বিশ হলেই সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করা হয়। হত্যাকারী ভাবে না যে তাকেও একদিন মরতে হবে। আর কোনো হত্যার রহস্যই গোপন থাকে না। ইসলামে হত্যা নিষিদ্ধ  ইসলামে সব রকম হত্যা, রক্তপাত, অরাজকতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার মর্মবাণী ঘোষণা দিয়ে বিদায় হজের ভাষণে বললেন, ‘তোমাদের রক্ত তথা জীবন ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম। যেমন আজকের এই দিনে, এই মাসে ও এই শহরে অন্যের জানমালের ক্ষতিসাধন করা তোমাদের ওপর হারাম।’ কোনো মুসলিমকে গালি দেওয়া আল্লাহর অবাধ্যতা এবং তাকে হত্যা করা কুফরি। (বুখারি ৪৮; মুসলিম ৬৪)   মানবহত্যাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কতটা ভয়ানকভাবে উপস্থাপন করেছেন তা একটি আয়াতে ফুটে উঠেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সমস্ত মানুষকে হত্যা করল।  আর যে ব্যক্তি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন সমস্ত মানুষের প্রাণরক্ষা করল (সুরা মাইদা, ৩২)।’ এর অর্থ হচ্ছে, দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে অন্য মানুষের প্রতি মর্যাদাবোধ যদি জাগ্রত থাকে এবং তাদের প্রত্যেকে অন্যের জীবনের স্থায়িত্বে ও সংরক্ষণে সাহায্যকারী হওয়ার মনোভাব পোষণ করে তাহলেই কেবল মানবজাতির অস্তিত্ব নিশ্চিত ও নিরাপদ হতে পারে। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে সে শুধু ওই ব্যক্তির ওপর জুলুম করে না বরং সে এ কথাও প্রমাণ করে যে, তার অন্তরে মানুষের জীবনের প্রতি মর্যাদাবোধ ও সহানুভূতির কোনো স্থান নেই। কাজেই সে সমগ্র মানবতার শত্রু। কারণ, তার মধ্যে এমন একটা বৈশিষ্ট্যের অস্তিত্ব বিরাজমান যা প্রতিটি মানুষের মধ্যে পাওয়া গেলে সারা দুনিয়া থেকে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি মানুষের জীবন রক্ষায় সাহায্য করে সে আসলে মানবতার সাহায্যকারী ও সমর্থক। কারণ তার মধ্যে এমন গুণ পাওয়া যায়, যার ওপর মানবতার অস্তিত্ব নির্ভরশীল। মানবহত্যার বিচার ও শাস্তিসমূহ কিয়ামতের দিন নরহত্যার বিচার করা হবে সর্বাগ্রে, তারপর অন্যান্য অপরাধের শাস্তি হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানবাধিকার সম্পর্কিত সর্বপ্রথম হিসেব হবে রক্তের।’ (বুখারি ৬৫৩৩; মুসলিম ১৬৭৮) একজন মানুষকে হত্যা করলে শুধু ওই ব্যক্তিই নিহত হয় না, তার গোটা পরিবারের ওপর এর প্রভাব বিস্তার করে। সন্তানরা হয় এতিম। স্ত্রী হয় বিধবা। মা-বাবা হয় সন্তানহারা। দীর্ঘমেয়াদি এক ট্রমার মধ্য দিয়ে যায় ফ্যামিলিটি। স্বাভাবিক মৃত্যু আর খুন এক জিনিস নয়। স্বাভাবিক মৃত্যুতে মানুষের ব্রেনে একরকম সান্ত্বনা খুঁজে পাওয়া যায়; যা খুনের ঘটনায় অনুপস্থিত। কাউকে অবৈধভাবে হত্যা করাও কবিরা গুনাহ। ব্যক্তিবিশেষে অপরাধের দায় আরও বেড়ে যায়। কুরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর আয়াত ও নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে, অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করে এবং মানুষদের মধ্য থেকে যারা ন্যায় ও ইনসাফের আদেশ করে তাদেরকে (হে নবি) তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। কাদেরই আমলসমূহ ইহকাল ও পরকালে নষ্ট হয়ে যাবে এবং তাদেরই জন্য তখন আর কেউ সাহায্যকারী হবে না (আলে ইমরান : ২১-২২)। খুনি হবে জাহান্নামি। কুরআন বলছে, ‘আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন মুমিনকে হত্যা করে তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। তার মধ্যে সে সদা সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি ক্ষুব্ধ হবেন ও তাকে অভিশাপ দিবেন। তেমনিভাবে তিনি তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভীষণ শাস্তি।’ (নিসা : ৯৩) কিয়ামতের দিনের একটি চিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘হত্যাকৃত ব্যক্তি হত্যাকারীকে সঙ্গে নিয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে। হত্যাকৃত ব্যক্তির মাথা তার হাতেই থাকবে। শিরাগুলো থেকে তখন রক্ত পড়বে। সে আল্লাহ তা‘আলাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, হে আমার প্রভু! এ ব্যক্তি আমাকে হত্যা করেছে। এমনকি সে হত্যাকারীকে আরশের অতি নিকটেই নিয়ে যাবে। শ্রোতারা ইবনে আব্বাসকে (রা.) হত্যাকারীর তাওবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপরোক্ত সুরাহ নিসা’র আয়াতটি তিলাওয়াত করে বললেন, এই আয়াত রহিত হয়নি এবং পরিবর্তনও হয়নি। অতএব তার তাওবা কোনো কাজেই আসবে না।’ (তিরমিযী ৩০২৯; ইবনু মাজাহ ২৬৭০; নাসায়ী ৪৮৬৬) মানবহত্যা এমন এক অপরাধ, যার গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না। হাদিসে এসেছে, ‘প্রতিটি গুনাহ আশা করা যায় আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেবেন। তবে দুটি গুনাহ যা আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। আর তা হচ্ছে, কোনো মানুষ কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে অথবা ইচ্ছাকৃত কেউ কোনো মুমিনকে হত্যা করলে।’ (নাসায়ী ৩৯৮৪; আহমাদ ১৬৯০৭; হা’কিম ৪/৩৫১) অপরাধীর শাস্তি হিসেবে হত্যার বিধান এটা কেবল শাসক কর্তৃক বাস্তবায়িত হতে পারে। শরীয়ত সম্মত তিনটি কারণের কোনো একটি কারণে শাসক গোষ্ঠীর জন্য কাউকে হত্যা করা বৈধ। বিশ্বনবী (সা.) বলেন,  ‘এমন কোনো মুসলিমকে হত্যা করা জায়েয নয় যে এ কথা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আমি (নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল। তবে তিনটি কারণের কোনো একটি কারণে তাকে হত্যা করা যেতে পারে অথবা হত্যা করা শরীয়ত সম্মত। তা হচ্ছে, সে কাউকে হত্যা করে থাকলে তাকেও হত্যা করা হবে। কোনো বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচার করলে। কেউ ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করলে এবং জামাতচ্যুত হলে।’ (বুখারি ৬৮৭৮; মুসলিম ১৬৭৬; আবূ দাউদ ৪৩৫২; তিরমিযী ১৪০২; ইব্নু মাজাহ্ ২৫৮২; ইব্নু হিববান ৪৪০৮ ইব্নু আবী শাইবাহ্, হাদীস ৩৬৪৯২; আহমাদ ৩৬২১, ৪০৬৫) গর্ভধারণের চার মাস পর গর্ভপাত করা হত্যার শামিল ভ্রুণ হত্যা বা গর্ভপাত এখন চাট্টিখানি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেন চাইলেই এমনটি করা যায়। কোনো দায়বদ্ধতা নেই। নেই কোনো জবাবদিহিতা। আসলে কি তাই? অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে অসংখ্য বনি আদম আজ এই জঘন্য পাপে জড়িত। এটা ঠান্ডা মাথার খুনি বৈ কিছুই নয়। হাদিসে এসেছে, ‘জনৈক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহ’র রাসুল! কোন পাপটি আল্লাহর নিকট মহাপাপ বলে বিবেচিত? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা; অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল: অতঃপর কি? তিনি বললেন, নিজ সন্তানকে হত্যা করা ভবিষ্যতে তোমার সঙ্গে খাবে বলে। সে বলল, অতঃপর কি? তিনি বললেন, নিজ প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করা (বুখারি ৪৪৭৭, ৪৭৬১, ৬০০১, ৬৮১১, ৬৮৬১, ৭৫২০, ৭৫৩২; মুসলিম ৮৬)। গর্ভধারণের চার মাসে বাচ্চা মোটামুটি আকৃতিতে চলে আসে। এরপর গর্ভপাতের অর্থই হচ্ছে বাচ্চাটাকে খুন করা। আর চার মাসের আগে খামোখা গর্ভপাত করাও শরীয়তে বৈধ নয়। শরই ওজর থাকার শর্তে তা করা যেতে পারে। তবে এতে মায়ের ভীষণ ক্ষতি হয়। শেষ কথা হলো, ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হত্যা হচ্ছে একটি জঘন্যতম অপরাধ। এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অর্থাৎ নিহত ব্যক্তির বদলায় ঘাতকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ইসলামের বিধান। এ ছাড়া ঘাতকের জন্য আল্লাহর রোষানলে পড়ে ধ্বংস হওয়া এবং তার লানতের শিকার হওয়ার মতো কঠোর শাস্তি তো রয়েছেই। আর আখেরাতে তার জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি। একমাত্র আল্লাহর ভয়ই পারে এ অপরাধ থেকে বাঁচাতে। পরকালীন জবাবদিহিতাই পারে মানবহত্যার মত নিকৃষ্ট পাপচার থেকে রক্ষা করতে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের গোটা জাতিকে এই জঘন্য কর্ম থেকে হেফাজত করুন। লেখক: প্রধান শিক্ষক, দারুলহুদা মডেল মাদরাসা, কোদালপুর, শরীয়তপুর
০২ জুন ২০২৪, ২১:৪১

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
কাতার ও সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২২৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিন্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৩৩০ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, এ ছাড়া অপর এক প্রস্তাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৭ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়